পরঞ্জয়

তারা কি বললো?
তারা কি করলো?
গল্পের মোর ঘুরে গিয়েছিল। 
 নিজের অবস্থান নিয়ে যে অনাস্থা তৈরি হয়েছিলো, 
নিজেকে যে ভাবে হারিয়ে যেতে দিতে হয়েছিলো।
তা সত্যি আশংকাজনক।
হঠাৎ করে কিছু অপ্রত্যাশিত মানুষের সাথে দেখা হবে জীবনে। 
হঠাৎ করেই গল্পের পরিবর্তন হবে।
হঠাৎ করেই নিজেকে নিয়ে ভাবতে তোমায় হবে।
হঠাৎ হঠাৎ করেই গল্প তৈরি হয়,
হঠাৎ করেই নিজেকে গড়তে সময় দিতে হয়।
জীবনে ভিলেন হিরোরা গল্পটা জয় পরাজয় হিসেবে নয়।
মানবতা জয়ী হবে, নিজেরো রক্ষা হবে, এমন করে দিন পার হয়ে যাবে।
একদিন তুমি হিরো হবে।
তোমায় হারিয়ে আফসোস হবে।
তোমাকে পেয়ে গর্ব হবে।
কিন্তু সব থেকে বড় পাওয়া হবে।
তুমি তোমার নিজেকে পাবে।
মানুষের রূপ ঋতুর মতো।
পরিবর্তন নির্ধারিত। 
তারা এঞ্জেল নয়,তারা ডেভিল ও নয়। 
তারা সাধারণ নয়, তারা অসাধারণও নয়। 
তারা কাছে নেই। 
তবুও অনেক কাছে।
তাদের সাথে দেখা হবে না কোন দিন।
তবুও দেখা হয় প্রতিদিন। 
আমরা যুক্ত না থেকেও যুক্ত। 
আমরা মুক্ত না হয়েও মুক্ত। 
হাজারো মানুষের ভীড়ে তারা কিছু মানুষ বটে। 
হাজারো তাদের মাঝে আমরাও কিছু মানুষ বটে।
কিন্তু যা আমি শিখেছি তাদের থেকে, 
তা শেখায় নি কখনো কেউ আগে।
ভিলেন হওয়া থেকে হিরো হওয়া। 
পরাজয় থেকে জয়।
হারানো থেকে পাওয়া। 
পাওয়া থেকে হারানো। 
সব কিছুই এক সুতায় বাধা।
এক সুতায় কাপড় হয় না।
এক কাপড়ে জীবন কাটে না।
ভালো মন্দ সবই আমাদের অর্জন। 
বোটা আগলা ফল গাছে না থাকাই সর্বোত্তম।
হিসেবে বেহিসেবে মানুষ আসবে যাবে। 
তুমি আমি বড় হবো,
শিখে যাব কি করে মানুষের সাথে মিলে মিশে কাছে থাকা যাবে।
কি করে ভালো খারাপ আলাদা করে একটা জীবন পার হয়ে যাবে,
শিখে যাব একটু একটু করে।
জীবন যখন আছে, শিখছি যখন রোজ,
বোকা আমি একদিন বুদ্ধিমান হব।
-সুগার টি 

One thought on “পরঞ্জয়

Leave a Reply to Moon Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *